প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন এবং বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, সকাল ১১টায় এই পুষ্পমাল্য অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর এ কে এম তফজল হক, চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও উপাচার্যের উপদেষ্টা জনাব মো. আবু তাহের, রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন এম. মঈনুল হক, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সোহেল এম. শাকুর, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার মনির, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান।
এসময় প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন মূলত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তিনি ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছয় দফা থেকে শুরু করে পাকিস্তান বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা-উত্তর-কালেও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর রাজনৈতিক-কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিই করে গেছেন।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন, মানুষকে বড়ো হওয়ার জন্য মনের দারিদ্র দূর করতে হয়। এই দারিদ্র মানে মনের অন্ধকার। শিক্ষার মাধ্যমে এই অন্ধকার দূরীভূত করা সম্ভব। মানবতাবাদী রাজনৈতিক নেতা আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ কারণে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রফেসর ড. অনুপম সেন আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম। তিনি গভীরভাবে দেশকে ভালবাসতেন, ভালবাসতেন এই চট্টগ্রামকে, চট্টগ্রামের মানুষকে। তিনি আমৃত্যু চট্টগ্রামের কল্যাণের কথা, উন্নয়নের কথা চিন্তা করেছেন। এ কারণে তিনবার নির্বাচিত মেয়র থাকাকালে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং শিক্ষা, চিকিৎসা ও রাস্তা-ঘাটের বিস্তার করেন।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পরে নগরীর জিইসি মোড়ে ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় খতমে কোরান, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ও মাওলানা বোরহান উদ্দিন হোসাইনি।
Related News
Premier University Welcomes LL.M. Batch 40 with Orientation Program 50 New Graduates Embark on Master’s Journey at Hazari Lane Campus