এই বিষয় প্রবর্তন করার জন্য সম্প্রতি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ইউজিসি থেকে অনুমোদন পেয়েছে। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অনেক আগেই ‘মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ’ প্রোগ্রাম চালু করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল। এই প্রোগ্রাম মুখ্যত জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে একটি দেশের জনস্বাস্থ্যকে রক্ষা করার জন্য যে-জ্ঞানের প্রয়োজন তা শিক্ষার্থীরা অর্জন করে। একটি দেশের মুখ্য ভিত্তি জনস্বাস্থ্য। জনস্বাস্থ্যের মাধ্যমে কেবলমাত্র জনগণকেই সচেতন করা হয় না, স্বাস্থ্যকর্মীরাও, যেমন, ডাক্তার, নার্স, সমাজবিজ্ঞানী, বস্তুত প্রায় সবক্ষেত্রের মানুষই উপলব্ধি করেন এবং বোঝেন কোন্ কোন্ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে দেশের জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। আমাদের দেশের জনগণ জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সজাগ নয় যে, সে-বিষয়টি এই পেনডেমিকের সময়ে দেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করেছে। বর্তমানে যে-পেনডেমিক বা মহামারী চলছে, তা প্রতিরোধ করার জন্য বিপুল পরিমাণে জনস্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন ছিল, যা বিদগ্ধ মানুষরা উপলব্ধি করেছে। একারণে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চালু করেছে এমপিএইচ প্রোগ্রাম।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অনুভব করে, দেশের মানুষের সুস্থ থাকা ও সুস্থ থাকার বিষয়ে জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। ‘মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ’ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা এই জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং জনস্বাস্থ্য শিল্পের প্রায় ক্ষেত্রে তারা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। এমপিএইচ প্রোগ্রাম বায়োস্টাটিক্স, ডাটা বিশ্লেষণ এবং মহামারীবিজ্ঞানের উচ্চ প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রচার করে যেখানে জনস্বাস্থ্য পেশাদাররা একটি সম্প্রদায়ের প্রয়োজনগুলি মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করে। এছাড়াও, এমপিএইচ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের সজ্জিত করবে নেতৃত্ব, যোগাযোগ এবং সাংগঠনিক দক্ষতায়, যা তাদের বৃহত্তর স্কেল এবং কার্যকর জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করবে।
প্রতিকারের পরিবর্তে প্রতিরোধই এমপিএইচ প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেবলমাত্র চিকিৎসাবিজ্ঞান নয়, জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞান বা এমপিএইচও গুরুত্বের সঙ্গে পঠিত হয়।
‘মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ’ প্রোগ্রামে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স বিভাগে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
Related News
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে সিম্পোজিয়াম ।