প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে এজ প্রকল্পের সমাপনীতে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির।
‘এই প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা তোমাদের সাফল্য এনে দেবে’।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা; উদ্ভাবন, গবেষণা ও আইসিটি শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং নাগরিকদের ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল একটি প্রকল্প হাতে নেয়, যার নাম ‘এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এন্ড ইকোনমি (এজ)’। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী চুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি)। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পের অধীনে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে সাম্প্রতিককালে ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং শুরু করা হয়, যা চলে তিনমাস। ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, বিকেল ৫টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এজ প্রকল্প ও এই প্রোগ্রামের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। এজ-আইসিটি চুয়েট ডিএসটি-এর কো-অর্ডিনেটর এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. এম মশিউল হকের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। প্রধান অতিথি উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরা ডিজিটাল যুগের সন্তান। তোমরা আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সময়ের সন্তান। তোমরা আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার, যেমন, এসি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন প্রভৃতি দেখছো ও ব্যবহার করছো। তোমরা সৌভাগ্যবান। আমরা আগে এসব দেখিনি। তিনি আরও বলেন, তোমরা এজ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বেসিক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, পাইথন, পিএইচপিসহ বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা গ্রহণ করেছো। এই প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার মাধ্যমে তোমরা চাকরিজগতে বা উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্য নিশ্চয়ই লাভ করবে। এমনকি তোমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বের ইতিবাচক পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, এজ প্রকল্পের ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং-এ বিভিন্ন কোর্স ছিল। সেগুলো টেকনিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের ফাউন্ডেশন কোর্স। কোর্সগুলোতে প্রশিক্ষণ নিয়ে তোমরা যে-দক্ষতা অর্জন করেছো, তা কাজে লাগাতে হবে। এই দক্ষতা নিয়ে তোমরা চাকরি না করলেও উদ্যোক্তা হতে পারবে। তিনি এজ প্রকল্পকে একটি সফল প্রকল্প বলে উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ ইফতেখার মনির বলেন, এজ প্রকল্পের ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং থেকে শিক্ষার্থীরা যে-জ্ঞান অর্জন করেছে, প্র্যাকটিক্যাল প্রবলেম সমাধানে তা অবশ্যই কাজে লাগবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম মশিউল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নলেজ দেয়। কিন্তু স্কিল বা দক্ষতা তোমাদের কোনো না কোনোভাবে অর্জন করতে হবে। এজ প্রকল্প বিনাখরচে তোমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা তৈরিতে সহযোগিতা করেছে। এই দক্ষতা তোমরা প্রয়োগ করতে না পারলে তা বৃথা হয়ে যাবে।
আরও বক্তব্য রাখেন আইআইসিটি, চুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. জামশেদ আলম পাটোয়ারী ও ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং-এর ট্রেইনার মো. মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং-এ অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করা হয়।
Related News
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে এজ প্রকল্পের সমাপনীতে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির।
‘এই প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা তোমাদের সাফল্য এনে দেবে’।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা; উদ্ভাবন, গবেষণা ও আইসিটি শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং নাগরিকদের ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল একটি প্রকল্প হাতে নেয়, যার নাম ‘এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এন্ড ইকোনমি (এজ)’। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী চুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি)। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পের অধীনে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে সাম্প্রতিককালে ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং শুরু করা হয়, যা চলে তিনমাস। ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, বিকেল ৫টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এজ প্রকল্প ও এই প্রোগ্রামের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। এজ-আইসিটি চুয়েট ডিএসটি-এর কো-অর্ডিনেটর এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. এম মশিউল হকের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। প্রধান অতিথি উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরা ডিজিটাল যুগের সন্তান। তোমরা আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সময়ের সন্তান। তোমরা আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার, যেমন, এসি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন প্রভৃতি দেখছো ও ব্যবহার করছো। তোমরা সৌভাগ্যবান। আমরা আগে এসব দেখিনি। তিনি আরও বলেন, তোমরা এজ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বেসিক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, পাইথন, পিএইচপিসহ বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা গ্রহণ করেছো। এই প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার মাধ্যমে তোমরা চাকরিজগতে বা উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্য নিশ্চয়ই লাভ করবে। এমনকি তোমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বের ইতিবাচক পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, এজ প্রকল্পের ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং-এ বিভিন্ন কোর্স ছিল। সেগুলো টেকনিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের ফাউন্ডেশন কোর্স। কোর্সগুলোতে প্রশিক্ষণ নিয়ে তোমরা যে-দক্ষতা অর্জন করেছো, তা কাজে লাগাতে হবে। এই দক্ষতা নিয়ে তোমরা চাকরি না করলেও উদ্যোক্তা হতে পারবে। তিনি এজ প্রকল্পকে একটি সফল প্রকল্প বলে উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ ইফতেখার মনির বলেন, এজ প্রকল্পের ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং থেকে শিক্ষার্থীরা যে-জ্ঞান অর্জন করেছে, প্র্যাকটিক্যাল প্রবলেম সমাধানে তা অবশ্যই কাজে লাগবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম মশিউল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নলেজ দেয়। কিন্তু স্কিল বা দক্ষতা তোমাদের কোনো না কোনোভাবে অর্জন করতে হবে। এজ প্রকল্প বিনাখরচে তোমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা তৈরিতে সহযোগিতা করেছে। এই দক্ষতা তোমরা প্রয়োগ করতে না পারলে তা বৃথা হয়ে যাবে।
আরও বক্তব্য রাখেন আইআইসিটি, চুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. জামশেদ আলম পাটোয়ারী ও ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং-এর ট্রেইনার মো. মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ইনসেপশন প্রোগ্রাম অব ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং-এ অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করা হয়।