প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ ভবনে ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের উদ্যোগে ‘হেলথি বিল্ডিং রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন কনসেপ্ট’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। মূল বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার জনাব মো. ইফতেখার মনির। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের এডভাইজার প্রফেসর সোহেল এম. শাকুরের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে ফ্যাসিলিটেটর ছিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির স্বাস্থ্যকর ভবনের সংজ্ঞা ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্যকর ভবন শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি মানুষের সুস্বাস্থ্য, মানসিক প্রশান্তি ও টেকসই উন্নয়নের প্রতীক। আধুনিক নগরায়নের চাপে পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, তা মোকাবিলা করতে হলে আমাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী ধারণার সমন্বয়ে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবন নির্মাণে প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের সঠিক ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব উপকরণের প্রয়োগ এবং শক্তি-সাশ্রয়ী নকশা আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর ভবন মানে হলো এমন এক বাস্তুসংস্থান তৈরি করা, যা মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে।
প্রফেসর ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার বলেন, একটা স্থাপনা নান্দনিক হওয়াটা বর্তমানে একমাত্র বিষয় নয়। সমসাময়িক সময়ে একটি স্থাপনা নান্দনিক হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই হওয়া জরুরি। তিনি একটা বিল্ডিং বা স্থাপত্যকে কতটুকু এনার্জি এফিসিয়েন্ট ও জিরো এনার্জি বিল্ডিং-এ পরিণত করা যায়, পরিবেশের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করে কীভাবে খাপ খাওয়ানো যায়, বর্তমান সময়ের স্থাপনাগুলোকে কীভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা যায়— সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি একটা স্থাপত্যের ব্যবহারকারীদের জন্য শারীরিক ও মানসিক পরিবেশগত বিষয় নিয়েও আলোকপাত করেন। তিনি সবুজ ভবন ও স্বাস্থ্যকর ভবন সম্পর্কে আলোচনা করে উভয় ভবনের ভিন্নতা তুলে ধরেন।
প্রফেসর সোহেল এম. শাকুর তাঁর বক্তব্যে বলেন, আগামী পৃথিবীর জন্য, আমাদের টিকিয়ে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর ভবন প্রয়োজন। আজকের সেমিনার থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা এই ভবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবে এবং এ ধরনের ভবন নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিভাগের চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ বলেন, আজকের সেমিনার নিছক একটি গবেষণার বিষয় নয়, বরং একটি সময়োপযোগী দর্শন, যা আমাদের ভবিষ্যতের স্থাপত্যচর্চাকে একটি নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে।
সেমিনারে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিত ছিলেন।
Related News
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগে বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ ভবনে ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের উদ্যোগে ‘হেলথি বিল্ডিং রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন কনসেপ্ট’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। মূল বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার জনাব মো. ইফতেখার মনির। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের এডভাইজার প্রফেসর সোহেল এম. শাকুরের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে ফ্যাসিলিটেটর ছিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির স্বাস্থ্যকর ভবনের সংজ্ঞা ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্যকর ভবন শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি মানুষের সুস্বাস্থ্য, মানসিক প্রশান্তি ও টেকসই উন্নয়নের প্রতীক। আধুনিক নগরায়নের চাপে পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, তা মোকাবিলা করতে হলে আমাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী ধারণার সমন্বয়ে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবন নির্মাণে প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের সঠিক ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব উপকরণের প্রয়োগ এবং শক্তি-সাশ্রয়ী নকশা আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর ভবন মানে হলো এমন এক বাস্তুসংস্থান তৈরি করা, যা মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে।
প্রফেসর ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার বলেন, একটা স্থাপনা নান্দনিক হওয়াটা বর্তমানে একমাত্র বিষয় নয়। সমসাময়িক সময়ে একটি স্থাপনা নান্দনিক হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই হওয়া জরুরি। তিনি একটা বিল্ডিং বা স্থাপত্যকে কতটুকু এনার্জি এফিসিয়েন্ট ও জিরো এনার্জি বিল্ডিং-এ পরিণত করা যায়, পরিবেশের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করে কীভাবে খাপ খাওয়ানো যায়, বর্তমান সময়ের স্থাপনাগুলোকে কীভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা যায়— সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি একটা স্থাপত্যের ব্যবহারকারীদের জন্য শারীরিক ও মানসিক পরিবেশগত বিষয় নিয়েও আলোকপাত করেন। তিনি সবুজ ভবন ও স্বাস্থ্যকর ভবন সম্পর্কে আলোচনা করে উভয় ভবনের ভিন্নতা তুলে ধরেন।
প্রফেসর সোহেল এম. শাকুর তাঁর বক্তব্যে বলেন, আগামী পৃথিবীর জন্য, আমাদের টিকিয়ে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর ভবন প্রয়োজন। আজকের সেমিনার থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা এই ভবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবে এবং এ ধরনের ভবন নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিভাগের চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ বলেন, আজকের সেমিনার নিছক একটি গবেষণার বিষয় নয়, বরং একটি সময়োপযোগী দর্শন, যা আমাদের ভবিষ্যতের স্থাপত্যচর্চাকে একটি নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে।
সেমিনারে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিত ছিলেন।